মো: তাছাব্বুর রহমান, মনিরামপুর (যশোর) : বর্তমান যুগের অধিকাংশ তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকের নেশায় আক্রান্ত। এই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছাত্র এবং ছাত্রীরা এই নেশায় আক্রান্ত । এমনকি দেখা যাচ্ছে শিশুরা তাদের পিতা মাতার কারনে ফেসবুকের ভয়াল কবলের শিকার হচ্ছে । তাদের খেলাধুলা খাওয়া দাওয়ার এমনকি ঘুম পড়ানোর ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে । এমনকি শিশুরা যখন কান্না করে তখন অধিকাংশ পিতামাতা মোবাইল ফোন তুলে দিয়ে কান্না থামিয়ে দেয় । খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে দেখা যায় মোবাইল হাতে দিয়ে অভ্যাস তৈরি করা । যার ফলে তাদের খাবার এর প্রতি কোন রূচি স্বাদ অনূভব করতে পারে না , তাদের ব্রেইন কাজ করে মোবাইল এর দিকে এবং একাকী থাকতে পছন্দ করে ।

যার ফলে তারা দিন দিন মানসিক বিকারগ্রস্ত হচ্ছে এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি ও স্মৃতি শক্তি কমে যাচ্ছে । আগামী দিনে যারা দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখবে,তারা আজ ফেসবুকের ভয়াল নেশায় আসক্ত । নিজেদের হিসাব অনুযায়ী দেখা যায় রাত দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ফেসবুকে সময় অপব্যবহার করছে । ফেসবুকে সময় ব্যয় করার ফলে ব্রেইন এর স্নায়ু দুর্বল হতে থাকে, সর্বদা মাথা ঘোরে এবং শরীর দুর্বল হতে শুরু করে,তারা একাকী থাকতে পছন্দ করে । এর ফলে দেখা যায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেধাহীন হয়ে পড়ে, অর্থাৎ তাদের পরিবারের সোনালী স্বপ্ন মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে ।

আর ফেসবুক নেশার কারনে তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ লেখা পড়া থেকে ঝরে পড়ছে আর এই ঝরে পড়ার কারনে সমাজে দিন দিন অপরাধের সংখ্যা বেড়ে চলছে । ফলে ফেসবুকের এই অপব্যবহার বন্ধ না করলে দেশের তরুণ সমাজ ধ্বংসের কবলে পড়বে । ফেসবুকের রয়েছে ভাল দিক এবং খারাপ দিক । কিন্তু অধিকাংশ তরুণ সমাজ বেছে নিচ্ছে খারাপ দিক গুলো ।

আর এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের ভুমিকা অনবদ্য এমনকি বাংলাদেশের প্রতিটা টিভি চ্যানেল এ সচেতন মুলক অনুষ্ঠান প্রচার করা, পত্র পত্রিকায় নিউজ করা এবং সমাজের শিক্ষিত বেক্তিদের নিয়ে প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করে প্রতিটি পরিবারকে সচেতন করতে হবে । তাহলে ফেসবুকের এই ভয়াল নেশা থেকে তরুণ প্রজন্ম মুক্তি পেতে পারে, তা না হলে মেধাশুন্য বধির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জাতিতে পরিণত হবে ।